শিরোনাম

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ

দুটি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বঙ্গভবনের পূর্ব দিকে পরিবহন কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন ও ঢাকা আন্তজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নামের দুটি সংগঠনের সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল সোমবার মেয়র হানিফ উড়াল সড়কে যান চলাচল ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকে। আজ সকাল ছয়টা থেকে দুই রুটে আবারও বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিআরটিসির কিছু বাস ওই রুটে চলাচল করছে। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী।
ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, দুই সংগঠনের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে দুপুর ১২টায়। সমঝোতা হলেই বাস চলাচল শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান-সমর্থিত ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন ও সরকারি দলের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা-সমর্থিত ঢাকা আন্তজেলা শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন কার্যালয়ের দখলদারি নিয়ে বিরোধিতা চলে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে কার্যালয়টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দখলে ছিল। গত রোববার সন্ধ্যার পর এটি দখল করেন ঢাকা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকেরা। এ কারণে গতকাল দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে বেলা পৌনে একটার দিকে মেয়র হানিফ উড়াল সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলার সময় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টাব্যাপী বন্ধ থাকার পর যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়। 
হানিফ পরিবহন, ডলফিন পরিবহনসহ বিভিন্ন বাস কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের দুদিক দিয়েই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে যাত্রীরা এসে দেখেন বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাঁরা বারবার জানতে চাইছেন, কখন বাস চলাচল শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাস ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় যাত্রীদের কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা-কুমিল্লা রুটের বাস রয়েল কোচের কর্মকর্তা আফজাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুটি শ্রমিক সংগঠনের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি কোনো বাস কোম্পানির সমস্যা নয়। অবরোধ বা ধর্মঘটও নয়। ওই সংগঠনগুলোর কারণে আমাদের বাস চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’
এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী ভোর থেকে অপেক্ষা করছেন। অনেকের সঙ্গে পুরো পরিবার। কারও কারও সঙ্গে ভারী ব্যাগ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর কেউ কেউ ব্যাগ নিয়েই হেঁটে রওনা দিয়েছেন।
 
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ বাংলা তরঙ্গ ডিজাইন বাংলা তরঙ্গ